রবিবার, ২ জুন, ২০১৩

মিলন (২)

ভেসে যাচ্ছে দুটি খোলস।
দুটি সাদা-কালো খোলস।

ভেসে যাচ্ছে আগুন।
রঙিন আগুন।

ভেসে যাচ্ছে শূন্য ।
মুগ্ধ শূন্য!

রঙিন আগুন যখন হাওয়ার খেলায় মত্ত,
এক নেশাখোরের মতো।
তখন একনাগারে সাদা কালো দেহ
রং পাল্টাচ্ছে,
অহরহ!

শনিবার, ১৮ মে, ২০১৩

একটি রূপকথার কবিতা




















আমি বৃষ্টির শেষে তোকে জড়িয়ে ধরেছিলাম রামধনুর আশায়
তখনও তোর্  চুলে বেয়ে চলেছে নদীর জল  !

আগ্নেয়গিরির লাভা জমে বরফ হয়ে গেছে কাল রাতেই  !
আজ তার উপর বৃষ্টি পরেছে  !
বরফ আছে বরফের মত আর তার উপর জল জমে  !


এত টাটকা রামধনু আগে কখনো দেখিনি  !
প্রত্যেকটা রং এত ঠিকরে বেরোচ্ছে যেন মনে হচ্ছে, রঙিন সব সূর্য সারি বেধে পাশাপাশি দাড়িয়ে  !
আর সেই তাদের তীব্র রঙের রশ্মি একবার আগ্নেয়গিরিরর গা বেয়ে উঠে আসছে জল এর দিকে  !
আবার খানিক পর আকাশ থেকে ঝাপ দিচ্ছে তোর্ চুলের ভিতর নদীর জল হয়ে  !


আমি মনে মনে ভেবে বসেছি যে, সব রহস্য তোর্ ওই চুল ছুলেই বুঝতে পারবো  !
চুলের গভীরে ছোট্ট এক কোষ এ পৌছে দেখি সেই একই কল্পনা  !
সেই একই ছবি  ! সেই রামধনু  ! সেই আগ্নেয়গিরি  !
আবার সবকিছুর শুরু। 

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৩

অন্ধকারের আত্মপ্রলাপ


আমার পরিচয় কি??!!


আমি শুধুমাত্র চাই
যেন করতে পারি সকল সঠিক ভুল।
যে ভুল, ভুল না,
যা তোমার আমার সকলের হয় 
বেড়ে ওঠার মধ্যে দিয়ে, বেড়ে ওঠার জন্যে।।

















ভগবান যখন সমুদ্রতীরে এসে দাড়ায় 
যেন বলতে পারি আমার জ্ঞান চাই না, শুদ্ধতা চাই না, শক্তি চাই না,
আমি চাই, যেন আমি আমার সকল ভুলগুলো সঠিক ভাবে করতে পারি।
সূর্যের আলোয় মেলে ধরতে পারি আমার অন্ধকার।
        এমন এক অন্ধকার যা সূর্যের আলোতে আলোকিত না হয়েও, খুব সঠিক।
         সেই, রংহীন, মেরুদন্ডহীন, শক্তিহীন, অন্ধকার।

আলোড়ন ছড়িয়ে দেওয়ার শক্তি আমার নেই,
আলোড়ন হয়ে ওঠার দম্ভ আমার আছে।

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

তুই!

তোকে ভিজিয়ে দেব শব্দের অহংকারে;
বৃষ্টি না পারলেও, ভিজে থাকবে চুল।
চোখের গহ্বর থেকে বেড়ে উঠবে সবুজ লতা;
মাথার উপর বর্ষার প্রথম মেঘ;
হাত পায়ে ঝরা পাতা উড়ে এসে পরা;
ঠোঁটের উপর মুক্ত সময়;
বুক ভরা ভেজা এক শান্তি।।

শব্দ এসে কেড়ে নিল আবার স্বপ্ন,
শব্দ এসে মনে করালো এতো তুই!
বিলম্বিত একটা স্বর একটানা
যেভাবে ভেঙ্গে দেয় নিরবতা।




মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৩

রূপকথার নিপাত

তোকে কুড়িয়ে নেব বলে আকাশে পেতেছিলাম ফাঁদ,

কিন্তু হলো সে এক বিষম সর্বনাশ।
ফাঁদ ভেদ করে এক আলোক বিন্দু করলো নিপাত।

ফাঁদ এর উপর শুরু হলো আলোর কাড়াকাড়ি,
আর মাটির উপর উঠলো এক আলোর গাছ........

তার পাতা, ফুল, ফল, সব আলো-

গাছের উপর চড়ল বসে চড়ুই পাখি।
দোষ কিই বা তার?! সে কি আর জানত এই আলোর বাড়াবাড়ি।
ঝটপট উড়ে গেল গাছের থেকে,
উড়ে গেল এক নদীর উপর।

নদীর উপর আলোর পাতা এসে পরছে,
তারা শীতল হয়ে যাচ্ছে।
আর শিহরণে মুখ তুলে চাইছে আকাশের দিকে.....

ওই দেখ ভুলেই গেছি, তোকে কুড়িয়ে নেব বলে
ফাঁদ পেতেছি আকাশ জুড়ে
ফাঁদ এর মধ্যে ছেঁদ ছিল জানতাম কি আর তখন,
সেই ছেঁদ দিয়ে রূপকথারা জন্ম নেবে যখন তখন।।।

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

ভেজা




সবুজ - জল - বৃষ্টি - ঝমঝম
অদ্ভূত - আশ্চর্য - শান্তি - আলো - মেঘাধার
মানুষ - ভেজা - চুপচাপ - আনন্দ
গান - সরোদ - নিশ্চিন্ত - সময়।।

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৩

মিলন

আমি ঝড়ের শেষে ঝড়ের মত ক্লান্ত।
আমি নবীন আলোয় অন্ধকার ও আবছা।
আলতো করে নিভিয়ে দেওয়া প্রদীপ
জ্বলন্ত একটা ছোট্ট অগ্নিশিখা।
মাটির বুকে বেরিয়ে আসা মানব।
আমি পৃথিবীর মতো বৃহৎ ও সরল।
সব দিক ঠিক রেখে,
আমি নোংরা হলেও চোখে পরবে না মোর কালো।।

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

মুক্তি

খানিকটা কালো মেঘ জমে ছিল আকাশে,
আমি তার ভিতরে প্রবেশ করে ভেবেছিলাম-
আকাশ  থেকে তাকে মুক্তি দেব।
কিন্তু মুক্তি দেওয়ার নামে তাকে শুষে  নিলাম নিজের ভিতর।
তারপর আলোর মাঝে অন্ধকার।
এক শরীর কালো মেঘ হয়ে আমি পড়তে থাকলাম ,
পড়তে  থাকলাম একটা পুকুরের মধ্যে।
অতিকায় এ পৃথিবীর ক্ষুদ্র এক পুকুর।
তুমি আলো হলে,  আমি মুক্ত।
বৃষ্টির জল, পুকুর আর আমি এক হয়ে,
মিশে গেলাম, মিলিয়ে গেলাম, হারিয়ে গেলাম।

সমর্পণ

সমর্পিত  হল  সকল  অঙ্গ :
মাঠ , ঘাট , নদী , গাছপালা , বাড়ি :
একতলা, দোতলা , তিনতলা ।
সন্ধেবেলা  হলুদ  আলোয় ;
এক  নবীন  রঙের  স্বপ্ন ।।

সমর্পিত হল আসবাব :
খাট , বিছানা , টেবিল :
তার উপর হাতঘড়ি, পাশে চাযের কাপ ।
কুয়াশা মাখা রাস্তায় ,
শীতের চাদরের তলায় হাতের গোপন আলিঙ্গন ।।

সমর্পিত হল ভাবনা :
একথা , সেকথা, কুকথা , কথার কথা:
'ভালো আছ?', 'কেন অমন?'।
ময়দানের বিকেলে ,
একে অপর কে চেনা জানার রুপকথা ।।

সমর্পিত হলাম  আমি,
কিন্তু সে আর এমন কি?!
বাসা পরিবর্তন মাত্র।
সমর্পিত হলে তুমি।
কি করে?! কই বুঝলাম না তো ।

তবে কি মিশে গেলে বুঝি??